শেষ রাতের দিকে হঠাৎ বাড়ি থেকে উধাও ১৭ বছরের কিশোরী। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে, রাত তিনটে নাগাদ সে একা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে চলে যাচ্ছে। দু’দিন পেরিয়ে গেলেও তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরাতন মালদা পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ী মহানন্দা কলোনি এলাকায়।
নিখোঁজ কিশোরীর নাম নীলাঞ্জনা কুণ্ডু। বয়স ১৭ বছর। বাবা বিপ্লব কুণ্ডু পেশায় ব্যবসায়ী। মা জয়িতা কুণ্ডু সাধারণ গৃহবধূ। নীলাঞ্জনা মালদা শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, সম্প্রতি অত্যাধিক ঈশ্বরভক্ত হয়ে উঠেছিল নীলাঞ্জনা। নিজের আলাদা ঘরে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি নিয়ে দিন কাটাত। বাড়ির সবাইকে নিরামিষ খাবার খাওয়ার বার্তা দিয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা তা মেনে না নেওয়ায় সে বাইরে থেকে নিরামিষ খাবার কিনে খেত। রবিবার রাত দুটো পঞ্চাশ মিনিট নাগাদ সে দোতলা থেকে কাপড় বেয়ে নীচে নেমে উধাও হয়ে যায়। এই ঘটনায় ১৪ ই এপ্রিল স্থানীয় মঙ্গলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে মেয়ের নামে মিসিং ডায়রি করেন বিপ্লব কুন্ডু। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।
নিখোঁজ কিশোরীর বাবা বিপ্লব কুন্ডু জানান, ‘রবিবার রাত তিনটে নাগাদ মেয়ে বাড়ি থেকে চলে গেলেও বিষয়টি পরদিন সকালে আমার নজরে আসে। মেয়ে একা আলাদা ঘরে ঘুমোত। কিছুদিন ধরে ও নিরামিষ খাবার খাচ্ছিল। বাড়ির সবাইকে নিরামিষ খেতে বলছিল। এমনকি বাড়িতে রান্নার সব জিনিস পালটে দিতে বলছিল। এত কিছু একসঙ্গে পালটাতে গেলে বড় খরচের বিষয়। মেয়েকে বলেছিলাম, এই মুহূর্তে অত খরচ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেকথা শুনে ও বাইরে থেকে খাবার কিনে খাচ্ছিল। আমার সন্দেহ, আমার মেয়ে কোনও চক্রের পাল্লায় পড়েছে। সম্প্রতি মালদার আরও এক মেয়ে অর্থাৎ আমার মেয়ের বান্ধবী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পেতে চাই।
